কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

কলা খাওয়ার উপকারিতা না জেনেই আমরা কলা খেয়ে থাকি। যেহেতু কলা আমরা নিয়মিত খাই এটা খাওয়ার আগে অবশ্যয় আমাদেরকে কলা খাওয়ার অপকারিতা  জেনে রাখা উচিত। এটি


আপনি যদি কলা খেতে অনেক পছন্দ করে থাকেন তাহলে নিয়মিত কলা খাওয়ার আগে এর উপকারিতা গুলো ভালো করে জেনে নিবেন চলুন সব বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

কলা খাওয়ার উপকারিতা 

কলা একটি পুষ্টিকর ফল যা আমাদের শরীরের জন্য নানান উপকার বয়ে আনে।এটি প্রাকৃতিকভাবে শক্তি সরবরাহ করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে।কলার মধ্যে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ  নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদযন্ত্রকে সুস্থ  রাখতে সহায়তা করে।কলায় থাকা ফাইবার হজম শক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং মানসিক চাপ কমায়। কলায় ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে যা শরীরে সেরোটোনিন হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে এবং মেজাজ ভালো রাখতে সহায়তা করে।

আরো পড়ুনঃ পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা 

সকালে কলা খাওয়া উপকারী কারণ এটি শরীরকে দূরত্ব শক্তি দেয় এবং সারাদিন কর্মক্ষন রাখে।কলায় প্রাকৃতিকভাবে ফেনী ফাইবার ও কাবোহাইড্রেট থাকে তবে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এই নাস্তায় কলা খেতে পছন্দ করেন কারণ এটি সহজে হজম হয় এবং সকালের মেটাবলিজম বৃদ্ধিতে সহায়ক। কলা শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় রাখেও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। তবে খালি পেটে কলা খেলে কিছু মানুষের অ্যাসিডিটি বা অম্বল হতে পারে তাই এটি দুধ বা অন্য কোন খাবারের সঙ্গে খাওয়াও উত্তম।

রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা 

রাতে কলা খাওয়ার কিছু নির্দিষ্ট উপকারিতা রয়েছে বিশেষ করে যদি এটি ঘুমের আগে খাওয়া হয়। কলায় থাকা ট্রিপ্টোফ্যান ও ম্যাগনেশিয়াম বেশি শিথিল করতে সাহায্য করে আম দায়িক ঘুমের জন্য উপকারী।অনেকেররই রাতে পেশির টান  ব্যথা হয় কলা সেই সমস্যা দূর করতে পারে এটি পেট ঠান্ডা রাখে এবং হজমে সাহায্য করে তবে যাদের হজম মজনিত সমস্যা আছে তাদের জন্য রাতে কলা খাওয়া কিছুটা সমস্যার কারণ হতে পারে।

পাকা কলা খাওয়ার পুষ্টিকর দিক 

পাকা কলা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী কারণে প্রাকৃতিক চিনি থাকে যা সহজেই দেহ শোষণ করতে পারে এবং দূরত্ব শক্তি সরবরাহ করে। কলা ফাইবারে সমৃদ্ধ যা অন্ত্রের জন্য ভালো এবং হজমে সহায়ক।এটা ভিটামিন বি৬ ভিটামিন সি ম্যাগনেশিয়াম এবং প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম  সরবরাহ করে।পাকা কলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বক  ও চুলের জন্য ভালো। এটি শিশুদের জন্য আত্যন্ত স্বস্হ্যকর এবং সহজেই যোগ্য একটি ফল।

রাতে কলা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক 

যদিও কলা খুবই পুষ্টিকর তবে রাতে খেলে কিছু মানুষের হজমিত সমস্যা হতে পারে। এটি কিছু ক্ষেত্রে গ্যাস ফোলা ভাব বা অ্যাসিডিটির সমস্যা তৈরি করতে পারে কলা প্রাকৃতিক ভাবে ঠান্ডা প্রকৃতির ফল তাই এটি রাতে খেলে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে যাদের সর্দি-কাশি বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা আছে তাদের জন্য রাতে কলা খাওয়া উপযুক্ত নয়। অতিরক্ত পাকা কলায় সকরার পরিবার বেশি থাকে যার রক্তে সকরার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে  পারে।

কলা খাওয়ার অপকারিতা 

যদিও কলা অত্যন্ত পুষ্টিকর তবে অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকরও।দিনে ২-৩ টির  বেশি কলা খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে কারণ এতে কার্বোহাইট ও ক্যালারি থাকে।যাদের  ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য কলা খাওয়া রক্তের শকরার মাতারা বাড়িয়ে দিতে পারে। কলায় ম্যাগনেসিয়াম  ও পটাশিয়াম থাকে যাও অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে ইলেক্ট্রলাইটের ভারসম্য নষ্ট  করতে পারে এবং ক্লান্তি বা দুর্বল  কারণ হতে পারে।

দুধ কলা খাওয়ার উপকারিতা 

দুধ ও কলার সংমিশ্রণ অত্যান্ত পুষ্টিকর এবং শরীরের জন্য উপকারী। এটি শরীরের শক্তি বাড়ায় এবং দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা  নিয়ন্ত্রণে রাখে। ব্যায়াম্বা ভারী কাজ করার পর দুধ কলা খেলে তার শরীরের পেশি পুনগঠনে   সাহায্য করে।দুধে থাকা প্রোটিন ও কলায় থাকা কার্বোহাইডেট একসঙ্গে কাজ করে শরীরের পুষ্টি সরবরাহ করতে। এটি শিশুদের জন্য খুব ভালো খাবার তবে যাদের হজম ও জনিত সমস্যা আছে তাদের জন্য দুধ কলা একসঙ্গে খাওয়া সমস্যা  তৈরি করতে পারে।

কলার মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ 

কলায় প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রতি ১০০ গ্রাম কলায় ৮৯ ক্যালরি থাকে যা দূরত্ব শক্তি সরবরাহ করতে সহায়তা করে। কার্বোহাইড্রেট ফাইবার প্রোটিন ভিটামিন বি৬ সি পটাশিয়াম ম্যাগোনেশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।কলা হজম করতে সাহায্য করে হৃদযন্ত্রেকে সুস্থ রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি স্ট্রেস ও মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে।

কলা খাওয়ার নিয়ম 

সঠিক নিয়মে কলা খেলে এটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। সকালে বায়ামের আগে কলা খাওয়া ভালো কারণ এটি দূরত্ব শক্তি দেয় এবং কর্মক্ষম রাখে। খালি পেটে কলা খাওয়া কিছু মানুষের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে তাই এটি দুধ বা অন্যান্য খাবারের সঙ্গে খাওয়া উত্তম। দিনে ২-৩ টির বেশি কলা না খাওয়াই ভালো কারণ অতিরিক্ত খেলে সকরার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। কলা সাধারণত তাজাও পরিষ্কার করে খাওয়া উচিত যাতে কোনো রাসায়নিক পদার্থ না থাকে। 

আমাদের শেষ কথা 

কলা একটি সুপারফুট সঠিক নিয়মে খেলে আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনে।এটি দূরত্ব শক্তি সারবরাহ করে হজম শক্তি বাড়ায় হৃদরযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং মানসিক প্রশান্তি দেয়।অতিরিক্ত খাওয়া বা ভুল  সময়ে খাওয়া কিছু সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।বিশেষ করে যাদের ড্রায়াবেটিস বা হজমজনিত সমস্যা আছে তাদের জন্য কলা খাওয়ার বিষয়ের সতর্ক থাকা প্রয়োজন।সব মিলিয়ে সঠিক সময়ে ও পরিমাণে কলা খেলে  এটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বেসিক ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url