কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো

আপনি যদি ইউটিউবে ক্যারিয়ার শুরু করতে চান তাহলে আমরা সকলেই জানি বর্তমান সময়ে ইউটিউব কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয় এটি একটি বিশাল ক্যারিয়ার প্লাটফর্মেও পরিণতি হয়েছে। হাজার হাজার কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইউটিউবের মাধ্যমে আয় করছে ব্রান্ড তৈরি করছেন এবং নিজেদের ক্ষমতা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছেন।


আপনি যদি ইউটিউব এ ক্যারিয়ার শুরু করতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে যা করতে হবে।এই ব্লগ পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব কিভাবে ইউটিউব youtube চ্যানেল খুলতে হয় সেভ ড্রাইভ করতে হয় কনটেন্ট তৈরি করতে হয় এবং এটি থেকে আয় করা যায়

পেজ সূচিপত্রঃ কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন

কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো 

প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম

কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজ করতে হয়

ইউটিউব চ্যানেলে কিভাবে ভিডিও আপলোড করতে হয়

কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো 

কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো এর বিস্তারিত তথ্য আমি আপনাদের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে বুঝিয়ে দিব। আমি এখন আপনাদের সাথে কিছু প্রফেসিয়াল এবং প্রফেশনাল দুই ধরনের ইউটিউব চ্যানেল খোলার প্রক্রিয়া বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। তবে আপনি যদি মোবাইল বা স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকেন।

এবং আপনার কাছে কোন কম্পিউটার বা পিসি না থাকে তবুও ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন। আপনার যদি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ না থাকে তাহলে কোন চিন্তা করবেন না কারণ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল দিয়েই আমরা ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারি এমনকি পিসির মত এম্রেট মোবাইলের মাধ্যমে ভালো মানের ভিডিও এডিটিং করতে পারব।

ইউটিউব চ্যানেল খুলে কিভাবে ইনকাম করতে হয় এবং কিভাবে খুলতে হয় আপনারা যারা এই সেক্টরে একেবারে নতুন এসেছেন তারা মনে করে থাকেন যে একটি ইউটিউব চ্যানেল বানাতে হলে অনেক কিছু প্রয়োজন হয় তবে মনে রাখবেন ইউটিউব youtube চ্যানেল বানানোর জন্য আপনার তেমন কিছুই প্রয়োজন নেই।

যদি আপনিও এরকম কিছু ভাবছেন তাহলে দেখুন ইউটিউব চ্যালেন তৈরি করার জন্য আপনাকে কোন ধরনের খরচ করতে হবে না। ইউটিউব ফ্রিতেই প্রত্যেকে চ্যানেল বানানো সুযোগ দিয়ে থাকে। আপনি যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলার কথা ভেবে থাকেন তাহলে প্রথমেই আপনার প্রয়োজন হবে একটি স্মার্টফোন বা কম্পিউটার ল্যাপটপ ডেস্কটপ থাকলে ভালো হবে।

এরপর আপনার একটি ফ্রেশ জিমেইল একাউন্ট থাকতে হবে। যদি আপনার জিমেইল একাউন্ট না থাকে তাহলে আগে থেকে একটি জিমেইল একাউন্ট বানিয়ে নিবেন। ইউটিউব চ্যানেল খুলতে আপনার যা যা লাগবে। স্মার্ট ফোন অথবা কম্পিউটার একটি জিমেইল একাউন্ট ে নিচের বয়স অবশ্যই ১৮র বেশি হতে হবে ইন্টারনেট কানেকশন রাখতে হবে।

একটি নতুন ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য মূলত এই জিনিস গুলো আপনার প্রয়োজন হয়ে থাকবে। তাহলে চলুন এখন ইউটিউব চ্যানেল খোলার সঠিক নিয়ম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেটা পাই সেটা ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। প্রথমে আপনাকে যে কোন একটি ওয়েব ব্রাউজার ওপেন করে নিতে হবে এর জন্য আপনি গুগল ক্রোম ভাউচার ব্যবহার করতে পারেন।

এরপর আপনাকে চলে যেতে হবে ইউটিউব ডটকম ওয়েবসাইটে আপনি যদি মোবাইল ফোন দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল কার্ড করতে চান তাহলে আপনার গুগল ক্রোম ব্রাউজারকে ডেক্সটপে ভার্সন করে নিতে হবে। এরপর আপনাকে ইউটিউবের হোম পেজে নিয়ে যা হবে হোমো পেজের ডান দিককে উপরে সাইন নামে একটি বাটন দেখতে পাবেন এখানে ক্লিক করবেন।

এরপর যে ওয়েবসাইটটি আসবে এখানে আপনাকে আপনার ইমেইল এড্রেস এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে জিমেইল অ্যাকাউন্ট ইউটিউবে লগইন করতে হবে আপনার ওয়েব ভাউচারে যদি আগে থেকেই আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট লগইন করা থাকে তাহলে নতুন করে আর লগইন করতে হবে না এর জন্য আপনাকে পরবর্তী ধাপে চলে যেতে হবে।

প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম

ওপরে আমরা ইউটিউব চ্যানেল খোলার যে স্টেপগুলো জানলাম এগুলোর মধ্যে আপনি সহজেই একটি ব্যক্তিগত প্রফেশনাল youtube চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন কিন্তু আপনি যদি অধিক সময় লং টাইম ধরে ইউটিউবে কাজ করে যেতে চান এবং এখান থেকে অর্থ উপার্জন করতে চান তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হয় একটি ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্ট তৈরি করা।

আর এটিকে বলা হয়ে থাকে একটি প্রফেশনাল youtube চ্যানেল আপনার যে পার্সোনাল ইউটিউব চ্যানেল থাকবে সেটির মাধ্যমে ব্র্যান্ড চ্যালেন টি কে এক্সেস করা যাবে এর মানে হল ব্যান্ড চ্যানেলটি পার্সোনাল চ্যানেলের ও অধীনের থাকবে এবং এটি সম্পূর্ণ আলাদা একটি ইউটিউব চ্যানেল হিসাবে থাকবে। যদি বিষয়টি আরেকটু সহজ ভাবে আপনাদের বলি তাহলে এই দুই ধরনের ইউটিউব।

চ্যালেনের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে তা আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পারবে। পার্সোনাল চ্যালেন হলো আপনার ব্যক্তিগত কাজের জন্য আপনার জিমেইল একাউন্টে যে নাম এবং প্রোফাইল পিকচার থাকে সেগুলো সাধারণত এই ধরনের চ্যালেন দৃশ্যমান হয়ে থাকে। ব্র্যান্ড ইউটিউব চ্যানেল হল আপনার বিজনেস এর জন্য এর মানে হল এই ধরনের চ্যানেলে।

একের অধিক ব্যক্তি একসাথে কাজ করতে পারেন তাছাড়াও পার্সোনাল একাউন্ট এর তুলনায় ব্র্যান্ড একাউন্ট এর সুবিধা বেশি রয়েছে। তাই আমি সব সময় আপনাকে একটি ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করার পরামর্শ দিব। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হয়। প্রথমে আপনাকে ইউটিউব চ্যালেঞ্জ করতে হবে আপনার জিমেইল একাউন্ট ইন করে নিতে হবে।

 এরপর পূর্বে দেখানো নিয়ম অনুযায়ী আপনার জিমেইল একাউন্ট সাইন ইন করে নিতে হবে। আর আগে থেকে সাইন ইন করা থাকলে নতুন করে করার প্রয়োজন হবে না। এভাবে আপনি একটি প্রফেশনাল youtube চ্যানেল খুব সহজেই খুলে নিতে পারবেন আর আপনি যখন এভাবে একটি ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন তখন আপনি অন্যান্য ব্যক্তিকেও।

আপনার চ্যালেনের যাবতীয় কাজ করার জন্য অ্যাক্সেস এর মাধ্যমে আপনার সাথে কাজ করতে পারবে। দিতে পারবেন তাহলে আশা করি কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন এ বিষয়ে উপরে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন youtube চ্যানেল মূলত বিভিন্ন রকমের ভিডিও আপলোড করে আপনি এখান থেকে উপার্জন করতে পারবেন।

কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজ করতে হয়

এখন আমরা জানবো কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খোলার পরে ইউটিউব চ্যানেলটি কাস্টমাইজ করতে হয়। কারণ একটি নতুন চ্যানেলের বিভিন্ন সেটিংস গুলো আগে থেকেই নিজের মত করে সেটআপ করা থাকে না সবকিছু আমাদের নিজেদের সেট করে নিতে হয়। যেমন চ্যালেন প্রোফাইল ছবি কভার ফটো চ্যানেল ডেসক্রিপশন ক্যাটাগরি চ্যানেল কি ওয়ার্ড এসব কিছু সেটিং করে নেওয়া।

কে চ্যানেল কাস্টমাইজেশন বলা হয় । এর জন্য প্রথমে আপনাকে ইউটিউব চ্যানেল এর চ্যানেল ডাইচবোর্ড এ প্রবেশ করতে হয়। এরপর কাস্টমার চ্যালেন নামে বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে। এরপর লে আউট বেন্ডিং এবং বাসিক ইনফো এরকম তিনটি অপশন চলে আসবে এখন আপনি যদি আপনার চ্যানেলের জন্য আইকন যুক্ত করতে চান তাহলে ব্র্যান্ডিং এ ক্লিক করলে।

আপনার ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজ করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

1. ইউটিউব স্টুডিওতে লগইন করুন 

.youtube studio এ জান

.আপনার ইউটিউব youtube চ্যানেল লগইন করুন।

2. চ্যালেঞ্জ কাস্টমাইজেশন অপশনে যান

.বাম মেনু থেকে কাস্টমাইজেশন সেকশনটি খুলন।

3.চ্যালেন লে আউট সেট করুন

,চ্যানেল Trailer নতুন দর্শকদের জন্য চ্যানেল টেইলার যোগ করুন।

,Featured Video যারা ইতিমধ্যে সাবস্ক্রাইব করছেন তাদের জন্য একটি ভিডিও সেট করুন।

, sectionos আপনার ভিডিও বা প্লেলিস্টিগুলোকে সাজানোর জন্য সেকশন যুক্ত করুন।

4.ব্র্যান্ডিং (Branding) সেট করুন

,প্রোফাইল পিকচার ৯৮০/৯৮০ পিক্সোলের  একটি হাই রেজালিউশন লোগো আপলোড করুন।

,ব্যানার ইমেজঃ ২০৪৮/১১৫২ পিক্সোলের ব্যানার আপলোড করুন।

ওয়াটারমার্ক ভিডিওর নিচের ডান কোণারে সাবস্ক্রাইব ব বাটন হিসেবে ব্যবহারের জন্য একটি ছোট ইমেজ আপলোড করুন।

5. বেশি ইনফরমেশন আপডেট করুন

, চ্যালেনের নাম ও বর্ণনা: আপনার চ্যানেল সম্পর্কে বিস্তারিত লিখুন।

, কাস্টম URL ১০০ সাবস্ক্রাইবারের বেশি হলে কাস্টম URL সেট করুন।

, লিংক যোগ করুন ওয়েব সাইট সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ লিংক যোগ করুন।

6. চ্যানেলের থিম ও কনটেন্ট স্টাইল সেট করুন

, ভিডিও থাম্বনেইল প্রতিটি ভিডিওর জন্য আকর্ষণীয় থাম্বনেইল তৈরি করুন।

, প্লেলিস্ট তৈরি করুনঃ বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিডিও গুলো আলাদা প্লেলিস্টে রাখুন।

ইউটিউব চ্যানেলে কিভাবে ভিডিও আপলোড করতে হয়

প্রিয় বন্ধুরা আমরা সকলেই জানি একটি নতুন ইউটিউব চ্যানেল খোলার পর আসল কাজ হলো নিচের চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করা। কারণ লোকেরা ইউটিউবে কেবল তখনই আপনাকে কিংবা আপনার চ্যানেলকে ইউটিউবে খুঁজে পাবেন যখন আপনার চ্যানেলে ভালো ভালো ভিডিও থাকবে। আর ইউটিউব চ্যানেলে ভিউজ এবং সাবস্ক্রাইবার পেতে হলে ভালো ভিডিওর বিকল্প নেই।

এজন্য আপনাকে সব সময় চেষ্টা করতে হবে নিজের এবং ভালো মানের ভিডিও চ্যানেলে আপলোড করার। ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করার নিয়ম খুবই সহজ। এর জন্য প্রথমে আপনাকে চলে যেতে হবে ইউটিউব এর হোমপেজে। এরপর একদম ডানদিকে উপরে ভিডিওর একটি আইকন দেখতে পারবেন।

এই ভিডিও আইকনের উপর ক্লিক করার পর Upload a video এবং Go live নামে দুটি অপশন দেখতে পারবেন এখান থেকে আপনাকে Upload a video তে ক্লিক করতে হবে। এরপরে আপনার আপলোড করার জন্য নির্দিষ্ট ভিডিওটি সিলেক্ট করে নিতে হবে এরপর Upload complete এবং processing হওয়া পর্যন্ত কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।

এরপর আপনার চ্যালেনে ভিডিওটি আপলোড হয়ে যাবে আর আপনি যদি মোবাইল ফোন দিয়ে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করতে চান তাহলে মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করার নিয়ম অনেক সহজ। শুধুমাত্র ইউটিউব অ্যাপে প্রবেশ করতে হবে এবং একদম নিজের দিকে  প্লাস আইকনের উপর কিলিক ক্লিক করে আপনি ভিডিও আপলোড করতে পারবেন।

ভিডিও আপলোড ও প্রকাশ করুন সবকিছু ঠিক থাকলে পাবলিশ বাটনে ক্লিক করবেন তারপর আপনার ভিডিওটি এখন ইউটিউবে লাইভ হয়ে যাবে ভিডিওর SEO অপটিমাইজ করতে সঠিক ট্যাগ ও কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন। ভিডিওর মান উন্নত করতে HD বা 4K রেজোলিউশনের ভিডিও আপলোড করুন। শেয়ার ও প্রমোট করতে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়া ও ব্লগে শেয়ার করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বেসিক ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url